A busy day in my life

avatar
Picsart_24-01-05_17-46-54-061.jpg

প্রতিদিনের মতোই ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠলাম।ফজরের নামাজ পড়ে আজকে আর ঘুমানো চিন্তাভাবনা নেই। কেননা আজকে আমাদের লোক নিয়েছে ধান রোপন করার জন্য। তাই তাদের জন্য নাস্তা বানাতে হবে প্রথমত তাদের জন্য নাস্তা বানালাম। নাস্তা বানানো শেষ হয়ে গেলে তাদেরকে নাস্তা খাইয়ে দিলাম, ধান রোপন করার জন্য তারা নেমে গিয়েছে মাঠে। এদিকে আমাদেরকে বলে দিয়েছে যাতে করে আমরা সার মিক্স করে রাখি।

IMG_20240104_174559_115.jpg
IMG_20240104_174559_434.jpg

এরপর আমার শাশুড়ি আমাকে বলল আগে গিয়ে সবজি বাগানে পানি দিয়ে আসার জন্য। কেননা যদি দেরি হয়ে যায় তাহলে সমস্যা হতে পারে। তাই আমি এবং আমার ছোট ননদ সবজি বাগানে চলে গেলাম। পানি দিয়ে আবার ফিরে আসলাম, আসতে আসতে দেখলাম আমার বড় ননদ এবং আমার শাশুড়ি সার মিশ্রন করা শুরু করে দিয়েছে। আমাকে বলল তুমি রান্নাবান্না কাজ শুরু কর, উনাদেরকে সময় মতো খাবার দিতে হবে।

IMG_20240104_174604_770.jpg
IMG_20240104_174559_338.jpg

এরপরে আমি রান্নাবান্নার কাজ শুরু করলাম। সবকিছু শেষ করতে করতে আমার প্রায় একটা বেজে গেল। রান্নাবান্না শেষ করে এসে আগে উনাদের জন্য খাবার রেডি করলাম, উনারা হাতমুখ ধুয়ে খাবার খেয়ে নিল। তার সাথে আমার ভাগিনা আছে ও এসে খাবার খেয়ে নিয়েছে। এরপরে আমি গোসল করে নামাজ পড়ে নিয়েছি। আমার শাশুড়ি আজকে আমার ছেলেদেরকে দুপুরের ভাত খাইয়ে দিয়েছে।

IMG_20240104_174558_876.jpg

আজকে যেহেতু বৃহস্পতিবার ছিল তাই ও আর মাদ্রাসায় যাবে না। এরপর ও ওর ভাইয়ের সাথে গিয়েছিল মাঠে কেন না উনারা ধান রোপন করছে, ওখানে দাঁড়িয়ে থাকলে কাজ একটু তাড়াতাড়ি করে সেজন্য। এরপর আমি নামাজ পড়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম, খাবার খেয়ে প্লেটে এবং সবকিছু দুয়ে আবার পরিষ্কার করে নিয়েছি। বিকেল বেলা উনাদেরকে আবার নাস্তা দিতে হবে। সেজন্য আমি আর ঘুমাই নি নিজের পোস্ট লিখলাম, এবং ওনাদের জন্য চা বানাবো সেই পানি গরম করে রেখে দিলাম, যাতে করে পরবর্তীতে আর কষ্ট না হয়।

IMG_20240104_174559_732.jpg
IMG_20240104_174559_032.jpg

পরবর্তীতে বিকেলে উনাদেরকে মুড়ি চানাচুর মাখিয়ে দিলাম এবং তার সাথে রং চা দিলাম। ওনারা রং চা খেয়ে আবারো কাজ করার জন্য নেমে গেল, কেননা আরেকটু ধান রোপন করার বাকি ছিল। আমি আমার ঘরের কাজ সম্পন্ন করে নিলাম। কাজ করতে করতে আমার প্রায় মাগরিবের আযান দিয়ে দিল। এরপর নামাজ পড়ে এসে ছেলেকে পড়তে বসালাম।

ওর পড়াশোনা শেষ করতে করতে প্রায় এশার আজান দিয়ে দিল। এরপর ওকে ভাত খাইয়ে দিলাম এবং ঔষধ খাওয়ালাম, ওর পায়ে ক্রিম লাগালাম। এই করতে করতে প্রায় আমার সাড়ে আটটা বেজে গেল। এরপর ওকে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম আমি নিজে খাবার খেলাম না কেন জানি ভালো লাগছে না। এরপর নিজের ভেরিফিকেশন শুরু করলাম, ভেরিফিকেশন করতে করতে আমার প্রায় রাত দশটা বেজে গেল।

এরপর ঔষধ খেয়ে নিয়েছি কেননা প্রচুর পরিমাণে মাথা ব্যথা করছে। ওষুধ খাওয়ার পর চোখে প্রচন্ড ঘুম কিন্তু মাথায় একটা টেনশন ছিল, যে আমার কমেন্ট একেবারেই কম হয়ে গেছে। ভেবেছিলাম কমেন্ট করবো কিন্তু ঘুমের কারণে আর কিছুই করতে পারলাম না।

সারা দিনটা বেশ ব্যস্ততার মধ্যেই কেটে গিয়েছিল, এর পরে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম বুঝতেও পারলাম না। এভাবেই আমার জীবন থেকে একটা দিন পার হয়ে গেল। প্রতিনিয়ত সময় চলে যাচ্ছে কিছু ভালো কাজ করতে পেরেছি কিনা জানিনা। তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করি যেমন রেখেছেন ভালো আছি। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের এখানে বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।



0
0
0.000
0 comments