রাইটিং ব্লক: অযাচিত লেখা...
সময়গুলো খুব দ্রুত পার হয়ে যাচ্ছে। একটার পর একটা দিন কিভাবে পার হচ্ছে, টেরও পাচ্ছি না। ক্যালেন্ডারের পাতায় প্রতিদিন নতুন নতুন তারিখ। একটা সময় হাতে অফুরন্ত সময় ছিল৷ দিনগুলো যেন পারই হতে চায়তো না। আর এখন? সময় যেন লাগাম হারানো এক ঘোড়া। ছুটে চলছে তার আপন গতিতে৷ থামানোর কোনো সুযোগ নেই।
আর কিছুদিনের মাঝেই নতুন একটা মানুষ দুনিয়ায় আসতে যাচ্ছে। ওর জন্যই আপাতত খুব একটা ব্যাস্ত সময় কাটাতে হচ্ছে। না জানি ও পৃথিবীতে আসার পর আরো কতটা ব্যাস্ত সময় কাটাতে হবে। তবে এই সময়গুলো আমাদের সবার খুব হেসে খেলেই পার হয়ে যাচ্ছে। আশা করি সামনে খুব ভাল সময় আসছে।
গত কিছুদিন হাসপাতালে ভালই ঘুরাঘুরি করা হয়েছে। শেষ সময়ের চেকাপ আর সামনে কী করব না করব, সেসব নিয়ে প্ল্যান প্রোগ্রাম করতে করতেই কিছুটা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি। সবকিছু শেষ করে আজ আবার ঢাকা আসলাম। কিন্তু ঢাকায় এসে মন বসছে না। মন পড়ে আছে যেন গ্রামের বাড়িতে, পরিবারের কাছে।

আগে অবশ্য একা থাকতে ভালই লাগতো। এখন সময় পালটে গেছে। অবশ্য একা থাকতে যে ভাল লাগে না, এমনটা না। কিন্তু পরিবারকে খুব মিস করি। মনে হয় যেন সবকিছু ছেড়ে ছুড়ে চলে যাই৷ কিন্তু সেই সুযোগ তো নেই।
দুপুরের মহানগর ট্রেইনে চড়ে কুমিল্লায় আসা। আমি আবার বেশিক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকতে পারি না। ট্রেইনে চড়লে এদিক সেদিক কিছুক্ষণ পর পর হাঁটাহাটির সুযোগ থাকে। কিন্তু বাসে সেই সুযোগ নেই। তাই বেশিরভাগ সময় আমি ট্রেইনেই যাতায়াত করি। আজও ব্যাতিক্রম না। এক বগি থেকে অন্য বগিতে কারণ ছাড়াই ঘুরে বেড়াতে ভাল্লাগে। তবে সবচেয়ে বেশি ভাল লাগে ট্রেইনের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকতে।

সময়ের অভাবে গত প্রায় ১ মাস যাবত নিয়মিত কিছু লেখা হচ্ছে না। তাই হুট করে লিখতে বসলে মাথা থেকে কোনো কথা বের হয় না। অথচ কিছুমাস আগেও যখন নিয়মিত লিখতাম, তখন কিন্তু লিখতে বসলে অনেক কিছুই লিখতে পারতাম। এক বিষয় নিয়ে লিখতে গেলে অন্য বিষয়ে চলে যেতাম। তবুও লেখা শেষ হত না। অনেকটা জোর করেই লেখা বন্ধ করতে হতো। আর এখন লেখার মতো কিছু খুঁজেও পাই না। এটাকেই বোধয় রাইটিং ব্লক বলে।
তবে যায় হোক, আজকে নাহয় কালকে এই সমস্যার সমাধান হবে আমি নিশ্চিত। শুধু নিয়মিত কিছু না কিছু লেখার চেষ্টা করতে হবে। আর এই চেষ্টার জন্য হাইভ তো আছেই। নিয়মিত লেখার চেষ্টা করলে আবারও আগের মতো হয়তো লিখতে পারব। সে পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাই।

কাল থেকে আবার বই মেলা। ইচ্ছে আছে মেলায় যাওয়ার। তবে কোনদিন যাবো ঠিক করি নি এখনো। সুযোগ পেলে কোনো একদিন হয়তো হুট করে চলে যাবো। তবে বই মেলা থেকে কখনো তেমন একটা বই কেনা হয় নি আমার কখনো। নিলক্ষেতের পুরানো বই এর দোকানগুলোই আমার সব আশা ভরসার স্থল। বই মেলায় সারাদিন ঘুরাঘুরি করে হয়তো দিন শেষে আমি ঠিকই চলে যাবো নীলখেতের সেইসব পুরানো বই এর দোকানগুলোতে বই কেনার জন্য।
বই মেলার গল্পগুলো নাহয় পরের লেখায় করব। আপাতত বিদায়। সারাদিনের ক্লান্তিকর জার্নির কারণে শরীর কিছুটা দূর্বল লাগছে। তাই আর বেশি কিছু লিখতে পারছি না। পরের লেখায় সুন্দর কিছু মুহুর্তের গল্প লেখার চেষ্টা করব...