The bliss of a rainy day and boat riding

avatar

▶️ Watch on 3Speak


সত্যিই একদম বাড়ির পাশেই ছিল সে কপোতাক্ষ নদ।
ওখানে যেয়ে নৌকা দেখেই লাফালাফি শৈলীর নৌকায় নদীতে ঘুরবে।

নৌকায় উঠতেই আবারও সেই গুড়িগুড়ি বৃষ্টি।
যদিও আমার বৃষ্টি ভারী অপছন্দ তবুও আমি নৌকায় উঠে সবার আগে যেয়ে মাথায় চেপে বসলাম।
শৈলীত পায়ের কাছে ছৈয়ের সামনে এলোপাতাড়ি শুয়েই পড়লো।
ফারদিন আপু ভালো বাচ্চার মতন গুটিয়ে নৌকার ছৈয়ের ভেতরেই বসে দোয়া-দরূদ পড়তে থাকলেন।
ইতিহাস বলে, সবচেয়ে কম বৃষ্টি হয় নাকি যশোরে। অথচ আমরা যেতে না যেতেই বৃষ্টি যেন মধুসূদনের হয়ে আতিথেয়তার আহ্বান জানালো।

ভাবলাম, এই পরিবেশ অমন কবির জন্ম না দিয়ে যাবে কই!
মাঝিকে শুধুলাম, "কেবল আপনারই নৌকা দেখলাম এখানে। এখানে নৌকা চালিয়ে পোষায়?"
বললেন, "একদম। দিন চলে যায়, অতটা লাগেনা। নিরালা মনে হলেও, যাত্রী যারা আসেন, তাতে দিনান্তপাত হয়েই যায়!"
ভাবলাম, "মিনিমালিস্টদের জীবন। কি সুখের।"

চারিদিকে নিস্তব্ধ, দুপাশে সবুজের শান বাঁধানো,
গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে বয়ে যাওয়া মৃদুমন্দ বাতাস, শীতল,
তিনটি নিজেদের জগতে ডুবে থাকা নৌকার তিন প্রাণী,
আর নিদারুন কৌতূহলে তাদের অবলোকন করতে থাকা মাঝি,
সাথে সুর তুলেছে কপোতাক্ষের বুকে ক্রমশ ছন্দে চলতে থাকা বৈঠার ছলাৎ ছলাৎ...


▶️ 3Speak



0
0
0.000
1 comments